বাংলাদেশে নতুন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ‘গ্রামীণ ইউনিভার্সিটি’ সরকার অনুমোদন দিয়েছে। এটি দেশে ১১৬তম অনুমোদনপ্রাপ্ত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। গ্রামীণ ট্রাস্টের অধীনে পরিচালিত হবে এই বিশ্ববিদ্যালয়, যা প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্যোগে গঠিত।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ১৭ মার্চ ২২টি শর্তে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দিয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সাত বছরের সাময়িক অনুমতি, কমপক্ষে ২৫ হাজার বর্গফুট আয়তনের ভবন, তিনটি অনুষদ এবং ছয়টি বিভাগ, পর্যাপ্ত শ্রেণীকক্ষ, লাইব্রেরি, ল্যাব, মিলনায়তন, সেমিনার কক্ষ এবং শিক্ষার্থীদের জন্য পৃথক কমনরুমসহ অন্যান্য অবকাঠামো থাকতে হবে।
ইউজিসির পরিদর্শন এবং প্রতিবেদনের পর, বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্যাম্পাসের প্রস্তুতি সন্তোষজনক হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। এটির ক্যাম্পাসের আয়তন ২৫ একর, যা উচ্চশিক্ষার জন্য এক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছে ইউজিসি।
এছাড়া, বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ আশা প্রকাশ করেছেন যে, নতুন বিশ্ববিদ্যালয়টি মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদান করবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি যথাযথভাবে নির্ধারণ করা হবে, যেন এটি অযৌক্তিক না হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়টি দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে যাচ্ছে এবং এটি শিক্ষার মান বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।