ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছাত্রলীগের ১২৮ জন নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্তকে তামাশা বলে মন্তব্য করেছেন সাদিক কায়েম। তিনি ১৪ জুলাইয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি। সাদিক কায়েম তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে এ মন্তব্য করেন, যেখানে তিনি ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় গভীর অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
সাদিক কায়েম বলেন, ১৪ জুলাই ঢাবি শিক্ষার্থীরা ‘তুমি কে আমি কে— রাজাকার রাজাকার’ স্লোগানে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানালে শাসকরা সহ্য করতে পারেনি। পরবর্তী সময়ে, ১৫ জুলাই রাজু ভাস্কর্যের সামনে আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়, যার ফলে অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়। তিনি জানান, ছাত্রলীগের হামলায় অনেক ছাত্র-ছাত্রী রক্তাক্ত হয়ে আহত হয়েছিল, তাদের চিকিৎসার জন্য তিনি দ্রুত ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে যান, কিন্তু সেখানে হামলাকারীরা পুনরায় আহতদের ওপর হামলা চালায়।
সাদিক কায়েম আরও বলেন, ১২৮ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর বহিষ্কারাদেশ খুবই অপ্রতুল এবং তা তামাশার সমতুল্য। তিনি দাবি করেন, প্রকৃত হামলাকারীদের সংখ্যা প্রায় এক হাজার হতে পারে, এবং তাদের চিহ্নিত করে প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। সাদিক কায়েম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান, যাতে প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
এছাড়া, সাদিক কায়েম এও উল্লেখ করেন যে, ঢাবি ছাত্রলীগের শীর্ষ সন্ত্রাসী সৈকত পার পেয়ে যাওয়ায় প্রশাসনের প্রতি জনগণের আস্থা নষ্ট হয়েছে। তার মতে, ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।