ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার খনগাওয়ের চাপাপাড়া এলাকার কলেজছাত্র মিলন হোসেনের অপহরণ এবং হত্যার ঘটনায় নতুন তথ্য সামনে এসেছে। পুলিশ জানিয়েছে, একটি চক্র অনলাইনে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাকে অপহরণ করে এবং মুক্তিপণ হিসেবে ২৫ লাখ টাকা দাবি করে। ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে মিলন ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিক কলেজের পেছনে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে নিখোঁজ হন। অপহরণের পর, রাত ১টার দিকে অপহরণকারীরা তার পরিবারকে ফোন করে মুক্তিপণের জন্য টাকা দাবি করতে থাকে। প্রথমে তারা ৩ লাখ টাকা চায়, পরে ৫ লাখ এবং শেষ পর্যন্ত ২৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
মিলনের বাবা পানজাব আলী অপহরণকারীদের দাবি অনুযায়ী ২৫ লাখ টাকা প্রদান করেন ৯ মার্চ রাতে। তবে, মুক্তিপণ দেওয়ার পরেও মিলন জীবিত ফিরে আসেনি। পুলিশ চক্রের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে এবং প্রযুক্তির সহায়তায় দুজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। তাদের মধ্যে একজন হলেন সদর উপজেলার শিবগঞ্জ মহেশপুর বিট বাজার এলাকার মো. মতিয়র রহমানের ছেলে মো. সেজান আলী, অন্যজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা স্বীকার করেছে যে তারা মিলনকে হত্যা করেছে। এরপর, সেজান আলীর বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত টয়লেটের নিচ থেকে মিলনের গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। মিলনের মৃত্যুতে তার পরিবার শোকাহত এবং এ ঘটনা পুরো এলাকার জন্য দুঃখজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মিলন হোসেন দিনাজপুর পলিটেকনিক কলেজের ছাত্র ছিলেন এবং তার অকাল মৃত্যুর ঘটনা এলাকায় ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে। পুলিশ তদন্তের মাধ্যমে অপহরণকারী চক্রের অন্য সদস্যদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে, যাতে তারা যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না করতে পারে।