ইসরায়েলজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ চলছে, যেখানে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর গাজায় নতুন সামরিক অভিযান চালানোর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জনগণ ক্ষোভ প্রকাশ করছে। হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাচ্ছে, কারণ হামাসের হাতে এখনো প্রায় ৫৯ জন ইসরায়েলি বন্দি রয়েছে। জনগণ আশঙ্কা করছে, নতুন আক্রমণ চালানোর ফলে বেঁচে থাকা বন্দিরাও হত্যার শিকার হতে পারে।
বিক্ষোভের সময় নেতানিয়াহুর সরকারের নিরাপত্তা প্রধান মোহাম্মদ রনেন বারকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা সুপ্রিমকোর্ট সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে। রনেন বার অভিযোগ করেছেন যে, নেতানিয়াহু নিজের স্বার্থে এই পদক্ষেপ নিয়েছেন, যা দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, নেতানিয়াহু বিক্ষোভের দায় বামপন্থি ‘ডিপস্টেট’ চক্রান্তের ওপর চাপিয়ে দিয়েছেন।
বিক্ষোভকারীরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, তারা আন্দোলন অব্যাহত রাখবে এবং বন্দি মুক্তির দাবি আরও জোরদার করবে। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের থামাতে জলকামান ব্যবহার করেছে, যার ফলে জনগণের মধ্যে ক্ষোভ আরও বেড়েছে। সাম্প্রতিক জনমত জরিপে দেখা গেছে, অধিকাংশ ইসরায়েলি জনগণ চান যে, বন্দিদের মুক্তি আলোচনার মাধ্যমে সংঘর্ষ-বিরতি চুক্তির অধীনে হবে, এবং তারা নেতানিয়াহুর নতুন আক্রমণ চালানোর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে।