জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যক্রম পরিচালনা করার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত, পরিকল্পনা বা প্রস্তাবনা সেনাবাহিনী বা অন্য কোনো সংস্থার নয়। এটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক বিষয় এবং এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার, রাজনৈতিক দল ও জনগণ। শুক্রবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “এটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। সরকার, রাজনৈতিক দল ও জনগণ সেই সিদ্ধান্ত নেবে।”
এনসিপি সম্প্রতি আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার পরিকল্পনা নিয়ে একটি অভিযোগ তোলে, যার বিরুদ্ধে দলটি অবস্থান নেয়। এনসিপি’র দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ অভিযোগ করেন, ক্যান্টনমেন্ট থেকে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার চেষ্টা চলছে। এই অভিযোগের পর বাংলাদেশে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা তৈরি হয়।
এনসিপি নেতারা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলনে তাদের অবস্থান তুলে ধরেন। নাহিদ ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ বর্তমানে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোর বাইরে অবস্থান করছে। তিনি বলেন, “বিচার অনিষ্পন্ন রেখে আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেওয়ার যেকোনো ধরনের আলোচনা ও প্রস্তাব এনসিপি দৃঢ়তার সাথে প্রত্যাখ্যান করে।”
এ সময় তিনি বেশ কিছু দাবি তোলেন, যার মধ্যে অন্যতম ছিল, আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করা এবং গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে তাদের বিচার চলাকালীন সময়ে তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা। তিনি যুক্ত করেন, “আওয়ামী লীগের বিচার চলাকালীন সময়ে আওয়ামী লীগ এবং ফ্যাসিবাদের সকল সহযোগী ব্যক্তি ও সংগঠনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।”
এনসিপি’র এই দাবির সঙ্গে তিনি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবেদনও উল্লেখ করেন, যেখানে আওয়ামী লীগের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিষয়ে সুস্পষ্ট মন্তব্য রয়েছে, তবে বিচার প্রক্রিয়ায় ধীরগতি প্রসঙ্গে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
এনসিপি’র এই অবস্থান বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নতুন একটি মাত্রা যোগ করেছে, যেখানে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।