Friday, May 9, 2025
spot_imgspot_img
Homeআন্তর্জাতিকগণঅভ্যুত্থানের মুখে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান: রাজনৈতিক সংকট ও সম্ভাব্য পরিবর্তন।

গণঅভ্যুত্থানের মুখে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান: রাজনৈতিক সংকট ও সম্ভাব্য পরিবর্তন।

তুরস্কে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ বর্তমানে তীব্র আকার ধারণ করেছে, যা প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানকে এক নতুন রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। এই বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়েছে ইস্তানবুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুর গ্রেফতারের পর। বিরোধী দল এবং সমর্থকরা অভিযোগ করেছেন যে, ইমামোগলুকে গ্রেফতার করা হয়েছে ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার প্রার্থিতা রোধ করার জন্য। এই পরিস্থিতি দেশের সাধারণ জনগণ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে, এবং তারা ব্যাপক বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করছে।

এ পর্যন্ত, বিক্ষোভ দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে, বিশেষত রাজধানী আঙ্কারা, ইস্তানবুল এবং ইজমিরে পুলিশের সাথে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ ঘটেছে। এসব বিক্ষোভের মূল দাবি হলো সরকারের রাজনৈতিক দমন-পীড়ন বন্ধ করা এবং ইমামোগলুকে মুক্তি দেওয়া। সরকার দাবি করছে, ইমামোগলু দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সহায়তার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন, তবে বিরোধীরা এটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ বলে উড়িয়ে দিচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভের অন্যতম প্রধান অংশীদার, এবং তারা নানা বাধা সত্ত্বেও রাজপথে নেমে এসেছে। সরকারের পুলিশি দমন-পীড়ন, কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ব্যবহার সত্ত্বেও বিক্ষোভ থামানো যাচ্ছে না। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন যে, এই বিক্ষোভ তুরস্কে এক বৃহৎ গণ-অভ্যুত্থানে পরিণত হতে পারে।

এছাড়া, এরদোগান সরকারের বিরুদ্ধে অনেক সমালোচনা উঠেছে যে, রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীকে দমন করতে গিয়ে তারা দেশের অর্থনীতি ও সামাজিক স্থিতিশীলতাকেও বিপদের মধ্যে ফেলছে। ইমামোগলুর গ্রেফতার তুরস্কের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আরও খারাপ করেছে, কারণ এই ঘটনাটি তুর্কি লিরার অবমূল্যায়ন এবং শেয়ার বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, এরদোগানকে এখন তার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক ক্ষমতাকে রক্ষা করতে হলে দেশজুড়ে এক কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

Most Popular

Recent Comments