Saturday, April 19, 2025
spot_imgspot_img
Homeজাতীয়২০২৫-এর প্রাক-বাজেট আলোচনায় উত্থাপিত গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য ও প্রস্তাবনা।

২০২৫-এর প্রাক-বাজেট আলোচনায় উত্থাপিত গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য ও প্রস্তাবনা।

২০২৫-এর প্রাক-বাজেট আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব ও দৃষ্টিভঙ্গি
তথ্যপ্রযুক্তির উন্নতি হলেও অনলাইনে কর প্রদানের মতো সহজ সেবাগুলোর বাস্তবায়ন এখনও বিলম্বিত। এ নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা। পাশাপাশি, প্রাক-বাজেট আলোচনায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব উত্থাপিত হয়েছে, যা রাজস্ব নীতির সংস্কার, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, সুশাসন ও কর ব্যবস্থার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে পারে।

প্রস্তাবসমূহ:
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় স্বচ্ছতা

করদাতাদের সঙ্গে কর অফিসের যোগাযোগে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে প্রতিটি নোটিসে সরকারি ই-মেইল ও মোবাইল নম্বর সংযুক্ত থাকা আবশ্যক।

করদাতারা যেন অনলাইনে তাদের রিটার্ন ও কর-সংক্রান্ত তথ্য সহজেই দেখতে পারেন।

তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি

টোল সংগ্রহ ও সরকারি সেবা ডিজিটালাইজ করতে মোবাইলভিত্তিক সফটওয়্যার প্রয়োগ জরুরি।

দেশীয় সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টে বিনিয়োগ বাড়িয়ে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় করা যেতে পারে।

কর আদায় ও রাজস্ব বৃদ্ধির প্রস্তাব

কর-বহির্ভূত রাজস্ব সংগ্রহে পাবলিক অডিট চালু করা ও অডিট সংস্থাগুলোর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।

অনর্জিত আয়ের ওপর (যেমন: জমি, ব্যাংক সেবা, ওষুধ খাত) উচ্চহারে কর আরোপ করা।

দ্বৈত নাগরিকত্বধারী উচ্চ আয়ের ব্যক্তিদের জন্য কর নীতি প্রণয়ন।

সরকার কর্তৃক অধিগৃহীত অকার্যকর জমির অর্থকরী ব্যবহারের মাধ্যমে রাজস্ব বৃদ্ধি।

করবিহীন গাড়ি আমদানির সুবিধা স্থায়ীভাবে বন্ধ করা।

প্রস্তাবিত অনুদানযোগ্য খাত:

স্বাস্থ্য: অসমাপ্ত হাসপাতাল ও নার্সিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উন্নয়ন।

শিক্ষা: গবেষণাভিত্তিক বিজ্ঞানচর্চার উদ্যোগ।

তথ্যপ্রযুক্তি: ব্যাংকিং সফটওয়্যার উন্নয়নে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিনিয়োগ।

এই প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন হলে দেশের অর্থনীতির কাঠামোগত উন্নয়ন হবে, কর ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আসবে এবং তথ্যপ্রযুক্তির আরও কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত হবে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

Most Popular

Recent Comments