দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে একটি ভয়াবহ দাবানল ভয়াবহ ক্ষতি সাধন করেছে, যার ফলে ২৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ১২ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন। এই দাবানলটি দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী দাবানল হিসেবে রেকর্ড হয়েছে। দাবানলের কারণে প্রায় ২৩,০০০ মানুষকে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বাধ্য করা হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হান ডাক-সু এই ঘটনার প্রতি প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, “নজিরবিহীন এই সংকট আমাদের জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানলের রেকর্ড বই নতুন করে লিখছে।” দাবানলটি সানচেয়ং কাউন্টি থেকে শুরু হয়ে দ্রুত পার্শ্ববর্তী উইসেয়ং এবং অন্যান্য এলাকাগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে, ঝোড়ো ও শুষ্ক বাতাসের কারণে আগুন আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
দাবানলের কারণে উইসেয়ং শহরের ১,৩০০ বছরের পুরোনো মন্দিরসহ অনেক সাংস্কৃতিক নিদর্শন পুড়ে গেছে। দমকল কর্মীরা আগুন নেভাতে চেষ্টা করছে, তবে এর মধ্যে একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে পাইলট নিহত হন। দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় ৫,০০০ সেনা এবং হাজার হাজার অগ্নিনির্বাপক কর্মী কাজ করছে। এ ছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর হেলিকপ্টারও সহায়তা করছে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় সাধারণত দাবানল খুব একটা ঘটে না, কিন্তু এবারের দাবানলটি ১৭,০০০ হেক্টর বনভূমি ধ্বংস করেছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা দেশটির ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ।