ইউনূসের চীন সফর: নতুন দিগন্তে বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক
মুহাম্মদ ইউনূস চার দিনের প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরে চীনে রয়েছেন। এই সফরে তিনি চীন ও বাংলাদেশের সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচনের কথা জানিয়েছেন।
চীন থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা
ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ চীন থেকে শিখতে চায় এবং চীনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়তে চায়। তিনি চীনের দারিদ্র্য হ্রাস সফলতার কথা উল্লেখ করে বলেন, চীন সাধারণ মানুষের চাহিদার ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত দারিদ্র্য হ্রাসে সফল হয়েছে।
শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক
ইউনূস চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে বৈঠক করেন, যেখানে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে এক চুক্তি ও আটটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। চীন থেকে ২১০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ, অনুদান এবং বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক
বাংলাদেশ ও চীনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ১ হাজার চীনা প্রতিষ্ঠান কাজ করছে, যা ৫ লাখের বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে।
চীনা বিনিয়োগ বাড়ানোর আশা
ইউনূস বলেন, চীনা বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ করবেন, যা স্থানীয় অংশীদারদের সাথে বৃহত্তর বাজার উন্মুক্ত করবে।
স্বাস্থ্যসেবা খাতে চীনের সহযোগিতা
ইউনূস আরও বলেন, বাংলাদেশ চীনের কাছ থেকে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য শিখতে পারবে। সম্প্রতি বাংলাদেশি রোগী, ডাক্তার এবং ট্রাভেল এজেন্সির প্রথম দলটি চীনের ইউনান প্রদেশে চিকিৎসা পর্যটন সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে গিয়েছিল।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি
এই বছর বাংলাদেশ ও চীনের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী এবং এটি চীন ও বাংলাদেশের জনগণের বিনিময় বছর হিসেবেও মনোনীত করা হয়েছে।
ভবিষ্যতের সহযোগিতা
ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ এবং চীন আরও সুদৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তুলবে, এবং আগামী ৫০ বছর এই সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে।