মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয়দের ভিসা বাতিল: জালিয়াতি চক্রে তদন্ত শুরু
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জালিয়াতির অভিযোগে প্রায় ২,০০০ ভারতীয়ের ভিসা আবেদন বাতিল করেছে। ভারতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস এক্স পোস্টে জানিয়েছে, তারা অযোগ্য প্রার্থীদের চিহ্নিত করে এই পদক্ষেপ নিয়েছে। পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টগুলোর সুবিধা স্থগিত করা হয়েছে এবং প্রতারণামূলক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
কেন বাতিল হলো ভিসা আবেদন?
তদন্তে জানা গেছে, পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় ৩০ জনেরও বেশি ব্যক্তি ভিসা জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত। তারা ২০২৪ সালের মে থেকে আগস্টের মধ্যে ভুয়া নথি ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে আবেদন করেছিলেন। এজেন্টরা আবেদনকারীদের ১ লাখ থেকে ১৫ লাখ টাকা নিয়ে নকল ব্যাংক স্টেটমেন্ট, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও চাকরির প্রমাণ তৈরি করেছিল।
মার্কিন দূতাবাস ও ভারতের তদন্ত
মার্কিন দূতাবাসের অভিযোগের ভিত্তিতে দিল্লি পুলিশ ২৭ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শুরু করেছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩১৮, ৩৩৬ ও ৩৪০ ধারা এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৬(ডি) ধারার আওতায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। মার্কিন কর্তৃপক্ষ ২১টি জালিয়াতির ঘটনা চিহ্নিত করেছে, যেখানে আবেদনকারীরা মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন।
আবেদনকারীদের কী হবে?
ভিসা বাতিলের ফলে অনেক শিক্ষার্থী ও অভিবাসনপ্রত্যাশী বিপাকে পড়েছেন। লাখ লাখ টাকা খরচ করেও অভিভাবকরা দুশ্চিন্তায়। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা প্রক্রিয়ায় দীর্ঘ অপেক্ষার সময় সমস্যা আরও বাড়াতে পারে।
মার্কিন বি-১ ও বি-২ ভিসার বর্তমান পরিস্থিতি
ব্যবসায়িক প্রয়োজনে: বি-১ ভিসা
পর্যটন, চিকিৎসা ও পারিবারিক কারণে: বি-২ ভিসা
বি-১ ও বি-২ ভিসা একসঙ্গে প্রদান করা হয়।
২০২২ সালে ভারতে এই ভিসার অপেক্ষার সময় ছিল ৯৯৯ দিন।
বর্তমানে দিল্লিতে ৪৪০ দিন, মুম্বাইয়ে ৪৪০ দিন, চেন্নাইয়ে ৪৩৬ দিন, হায়দরাবাদে ৪২৯ দিন এবং কলকাতায় ৪১৫ দিন।
সারসংক্ষেপ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জালিয়াতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি কেবল ভারত নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জন্যই বার্তা বহন করছে। ভিসা জালিয়াতি রোধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে, যা ভবিষ্যতে বৈধ আবেদনকারীদের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে