বাংলাদেশের রাজনীতির সংস্কার নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সম্প্রতি একটি ইফতার ও মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দেশের সংস্কারের কাজ সরকারের নয়, বরং ভবিষ্যতে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধির দায়িত্ব। আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এমন মন্তব্য করেছেন যে, যারা শেখ হাসিনার সুরে নির্বাচন না দেওয়ার কথা বলছেন, তাদেরকে মনে রাখতে হবে যে, এটি জনগণের অধিকার, এবং জনগণই তাদের ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধিকে নির্বাচন করবে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি পরিবর্তিত হয়ে নতুন বাংলাদেশ গঠনের জন্য জনগণের আকাঙ্ক্ষা এবং প্রত্যাশা পরিবর্তন হয়েছে, যা রাজনৈতিক নেতাদের ধারণ করতে হবে। শেখ হাসিনার পলায়ন-পরবর্তী সময়ে দেশের মানুষের মানসিকতা এবং রাজনৈতিক অবস্থা অনেকটাই বদলে গেছে, এবং সেই পরিবর্তন রাজনীতিবিদদের বুঝে তা অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
গণতন্ত্রে ফেরার সংগ্রাম এখনও শেষ হয়নি, এমন মন্তব্য করে আমীর খসরু বলেন, দেশের জনগণের হাতে মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে সেটি সম্পন্ন হবে। তিনি বলেন, জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে নির্বাচিত সরকারই একমাত্র মাধ্যম, এবং দেশের জনগণ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নির্বাচন প্রতিরোধের চেষ্টা মেনে নেবে না। দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন যেন অবিলম্বে আয়োজন করা হয় এবং দেশের জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারে।
আমীর খসরু আরও বলেন, যারা সংস্কারের কথা বলছেন, তারা ভুলে না গিয়ে মনে রাখতে হবে যে এটি নির্বাচিত সরকারের দায়িত্ব, এবং নির্বাচিত প্রতিনিধিরা দায়িত্ব নিয়ে জনগণের জন্য কাজ করবে। সুতরাং, জনগণের ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া এবং দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করা উচিত।
এছাড়া, তিনি আরও যোগ করেন যে, বিএনপি এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল একত্রিত হয়ে ৩১ দফা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যা পরবর্তী নির্বাচনের পর জাতীয় সরকার গঠন করে বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, তাদেরও এই পরিবর্তন ধারণ করে কাজ করতে হবে, যেন দেশের জনগণের জন্য একটি উন্নত ভবিষ্যত নিশ্চিত করা যায়।