নারীদের ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে দুর্দান্ত সূচনা করেছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। পাকিস্তানের লাহোরে বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটে-বলে দাপট দেখিয়ে ২৭১ রানের দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছে টাইগ্রেসরা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের তোপে মাত্র ২৮.৫ ওভারে ৯৩ রানে গুটিয়ে যায় থাইল্যান্ড নারী দল। ফলে ১৭৮ রানের বিশাল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ, যা তাদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয়।
এর আগে আইরিশ নারীদের বিপক্ষে ১৫৪ রানের জয়ে ছিল টাইগ্রেসদের সেরা সাফল্য।
লাহোরের সিটি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। শুরুটা ছিল কিছুটা ধাক্কাধাক্কির। দুই অঙ্কে পৌঁছার আগেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার ইশমা তানজিম।
তবে সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠে ফারজানা হক ও শারমিন আক্তারের জুটি। দ্বিতীয় উইকেটে তারা গড়েন ১০৪ রানের দৃঢ় জোট। ৮২ বলে ৫৩ রান করে ফারজানা ফিরে গেলেও এরপর ব্যাটিং ঝড় তোলেন নিগার সুলতানা ও শারমিন।
তৃতীয় উইকেটে তারা ১৩৮ বলে যোগ করেন ১৫২ রান—যা বাংলাদেশ নারী দলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দলীয় সংগ্রহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ইনিংসের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে নিগার সুলতানা খেলেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি। ৮০ বলে ১৫টি চারের সঙ্গে একটি ছক্কা হাঁকিয়ে তুলে নেন শতক, যা নারীদের ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পক্ষে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড।
অন্যপ্রান্তে ১২৬ বল মোকাবিলা করে ৯৪ রানে অপরাজিত ছিলেন শারমিন, যেখানে ছিল ১১টি বাউন্ডারি।
এই ম্যাচের আগে বাংলাদেশের নারী দলের সর্বোচ্চ দলীয় রান ছিল ২৫২, যা করা হয়েছিল ২০২৪ সালের নভেম্বরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে।
বোলিংয়েও ছিল দাপট। ২৮.৫ ওভারে থাইল্যান্ডকে মাত্র ৯৩ রানে থামিয়ে দেয় টাইগ্রেসরা। বল হাতে জ্বলে ওঠেন ফাহিমা খাতুন ও জান্নাতুল ফেরদৌস—দুজনেই তুলে নেন ৫টি করে উইকেট।
এই জয়ের মাধ্যমে বাছাইপর্বে আত্মবিশ্বাসীভাবে যাত্রা শুরু করল বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট দল, যারা এখন রেকর্ডের পর রেকর্ড ভেঙে সামনে এগোচ্ছে।