মডেল মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। আজ রবিবার সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাম্প্রতিক নানা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
২০২০ সালের ‘মিস আর্থ বাংলাদেশ’ বিজয়ী মেঘনা আলমকে গত বুধবার রাজধানীর নিজ বাসা থেকে পুলিশ আটক করে। আটকের দুই দিন পর আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। তাঁর বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ জারি করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে আসিফ নজরুল বলেন, “মেঘনা আলমকে বিশেষ ক্ষমতা আইনের আওতায় যে পদ্ধতিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেটি সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়নি। যদি তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের অভিযোগ থেকে থাকে, তাহলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত ছিল।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা স্বীকার করছি গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়ায় গলদ ছিল। তবে এর অর্থ এই নয় যে, তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ বা অপরাধ নেই। অভিযোগ যদি থেকে থাকে, তাহলে তা নিয়ে সরকার দ্রুত উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।”
উল্লেখ্য, প্রায় আট মাস আগে সৌদি আরবের সদ্য বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলানের সঙ্গে মেঘনা আলমের পরিচয় হয়। সময়ের সঙ্গে তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে এবং মাঝে মাঝে সৌদি কূটনীতিক মেঘনার বাসায়ও যেতেন। মেঘনার পরিবারের দাবি অনুযায়ী, পরিচয়ের চার মাসের মধ্যেই গত ডিসেম্বরে তাঁরা গোপনে বাগদান সারেন। তবে এই দাবির পক্ষে পরিবার কোনো ধরনের প্রমাণ দেখাতে পারেনি।
সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা আরও জানান, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দায়ের করা ৭,১৮৪টি হয়রানিমূলক মামলা বাতিলের সুপারিশ করেছে আইন মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি শিশু আছিয়া ধর্ষণ মামলার চার্জশিট আজ আদালতে জমা দেওয়া হবে এবং আগামী ৯০ দিনের মধ্যেই মামলাটির বিচারকাজ সম্পন্ন করা হবে বলেও জানান তিনি।