ওমানের মাটিতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অনুষ্ঠিত পরোক্ষ সংলাপ ফলপ্রসূ ও আশাব্যঞ্জক হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ। রোববার (১৩ এপ্রিল) এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, আলোচনার প্রথম ধাপ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। — এমন তথ্য প্রকাশ করেছে ইরানি সংবাদমাধ্যম মেহের নিউজ।
শনিবার ওমানের রাজধানীতে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে মধ্যস্থতাকারী দেশ হিসেবে ওমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আলোচনার মূল এজেন্ডা ছিল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের উদ্বেগ প্রশমন। বৈঠকে উভয় পক্ষের প্রতিনিধিরা আলাদা কক্ষে অবস্থান করলেও বার্তা আদান-প্রদান হয় ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মাধ্যমে।
মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল সিবিএস-এর জনপ্রিয় রাজনৈতিক অনুষ্ঠান ‘ফেস দ্য ন্যাশন’-এ হেগসেথ বলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আগ্রহী, তবে প্রয়োজনে সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণে তিনি দ্বিধা করবেন না। প্রয়োজনে ইসরায়েল এতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।
ট্রাম্প আগেই হুঁশিয়ার করে বলেছিলেন, ওমানভিত্তিক আলোচনায় কাঙ্ক্ষিত ফল না এলে সামরিক অভিযানের পথেই হাঁটবে যুক্তরাষ্ট্র— এমনকি ‘বোমাবর্ষণ’-এর সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি জানান, দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে সংলাপ চলে, যেখানে উভয় দেশের প্রতিনিধিদল পৃথকভাবে অবস্থান করলেও আলোচনার শেষ দিকে তারা ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে কিছু সময়ের জন্য মুখোমুখি হন। তিনি এই সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকে কূটনৈতিক সৌজন্য হিসেবে উল্লেখ করেন।
আরাঘচির ভাষ্য অনুযায়ী, পুরো আলোচনা ছিল শান্তিপূর্ণ, গঠনমূলক এবং আশাব্যঞ্জক। কূটনৈতিক বিশ্লেষকেরা এই সংলাপকে ভবিষ্যতের আরও বিস্তৃত আলোচনার ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করছেন।