নতুন বছর, নতুন বাংলাদেশ’ শিরোনামের থিম নিয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২-কে ঘিরে রাজধানী ঢাকায় আয়োজন করা হয় একটি অনন্য ও দেশের সর্ববৃহৎ ড্রোন শো।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বৈশাখী কনসার্টের মধ্য দিয়ে উৎসবের সূচনা হয়। সন্ধ্যা ৭টায় চীনা দূতাবাসের পৃষ্ঠপোষকতায় শুরু হয় বহুল প্রত্যাশিত ড্রোন শো, যা সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল।
এ অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক দর্শক উপভোগ করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক বার্তা বহনকারী বিমূর্ত চিত্র। প্রদর্শিত হয় বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা আবু সাঈদ, পানির বোতল হাতে শহীদ মুগ্ধের প্রতীক, রিকশায় দাঁড়িয়ে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে সালাম জানানো, জুলাই আন্দোলন, গণঅভ্যুত্থান এবং শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবিতে সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার প্রতিবাদের প্রতীকী উপস্থাপনা।
ড্রোন শোতে স্থান পেয়েছে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানানো বার্তা এবং চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের চিত্রও।
চারপাশ ছিল স্লোগানে মুখর; সাধারণ মানুষ ফ্যাসিবাদবিরোধী বক্তব্যে একাত্মতা প্রকাশ করে। আয়োজকরা জানান, এ আয়োজন শুধুমাত্র বিনোদন নয়—বরং এটি একটি সময়োপযোগী বার্তা পরিবেশনের মাধ্যম। প্রযুক্তির ছোঁয়ায় তুলে ধরা হয়েছে গণআন্দোলন, মানবিক সংকট এবং আগামী দিনের প্রত্যাশা।
ড্রোন শোর আগে বৈশাখী কনসার্টে গাওয়া হয় জনপ্রিয় গান ‘এসো হে বৈশাখ’। একক সংগীত পরিবেশন করেন মিঠুন চক্র ও পালাকার ইসলামউদ্দিন। রাকিব ও সাগর দেওয়ান উপস্থাপন করেন একক ও দ্বৈত সংগীত, এবং আরজ আলী ওস্তাদের সঙ্গে রাকিব পরিবেশন করেন আরও দুটি গান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
নিরাপত্তার দিক থেকেও আয়োজনে ছিল সর্বোচ্চ সতর্কতা। চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ছিল কড়া নজরদারিতে—ফুট পেট্রল, রোবোস্ট পেট্রল, সাদা পোশাকের গোয়েন্দা এবং ড্রোন ও সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়।