Sunday, April 20, 2025
spot_imgspot_img
Homeঅন্যান্যবিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বৈদেশিক দেনা এক বছরে কমেছে ২৯ হাজার কোটি...

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বৈদেশিক দেনা এক বছরে কমেছে ২৯ হাজার কোটি টাকা

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের সময় বৈদেশিক দেনার পরিমাণ ছিল প্রায় ৩৯ হাজার কোটি টাকা। বর্তমানে তা নেমে এসেছে ১০ হাজার কোটি টাকায়, অর্থাৎ সরকারের মেয়াদে এই খাতে ২৯ হাজার কোটি টাকার ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান কালবেলাকে জানান, দায়িত্ব নেওয়ার সময় বৈদেশিক দেনার পরিমাণ ছিল ৩.২ বিলিয়ন ডলার (প্রতি ডলার ১২১ টাকা ধরে আনুমানিক ৩৯ হাজার কোটি টাকা)। এখন সেই দেনা কমে দাঁড়িয়েছে ৮২৯ মিলিয়ন ডলারে (প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা)। তিনি জানান, চলতি বছরের মধ্যেই এই বাকি ঋণও পরিশোধের পরিকল্পনা রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বর্তমানে বিদ্যুৎ খাতে ৫২৯ মিলিয়ন এবং জ্বালানি খাতে ৩০০ মিলিয়ন ডলার বকেয়া রয়েছে। বিদ্যুৎ খাতের দেনার বড় অংশ ভারত থেকে আমদানিকৃত বিদ্যুৎ এবং কয়লার বিল, আর জ্বালানি খাতের অধিকাংশ বকেয়া এলএনজি আমদানি বাবদ।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য বাংলাদেশ ৯৬টি এলএনজি কার্গো আমদানির পরিকল্পনা করেছে, যার আনুমানিক খরচ ধরা হয়েছে ৫৫,৩৫৭ কোটি টাকা। পরের অর্থবছরে কার্গোর সংখ্যা বাড়িয়ে ১১৫টি করার পরিকল্পনা রয়েছে, যেখানে মোট ব্যয় হতে পারে প্রায় ৬৭,৬০৭ কোটি টাকা। গড়ে প্রতি কার্গোর পেছনে খরচ হবে প্রায় ৫৮৭ কোটি টাকা।

জ্বালানি ভর্তুকির জন্য সরকার ৬,৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে বলে জানান ইএমআরডি সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, নতুন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে সামান্য শুল্ক সমন্বয়ের মাধ্যমে আরও বেশি পরিমাণে এলএনজি আমদানি সম্ভব হবে।

বিদ্যুৎ বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, বৈদেশিক দেনা পরিশোধের জন্য ৬০ দিনের একটি ঘূর্ণায়মান চক্র অনুসরণ করা হচ্ছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সব বকেয়া সম্পূর্ণভাবে পরিশোধ করা সম্ভব হবে।

দেশীয় গ্যাস রিজার্ভ কমে যাওয়ায় সরকার জিটুজি এবং স্পট মার্কেট—দুইভাবেই এলএনজি আমদানি করছে। বর্তমানে প্রতি ইউনিট এলএনজির ব্যয় প্রায় ৭০ টাকা হলেও, দেশীয় গ্যাসের সঙ্গে মিশিয়ে তা ৩০ টাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে।

এদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) আগামী জুনে প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের আগে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের দেনা পরিশোধে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা চেয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, আইএমএফকে জমা দেওয়ার জন্য সেই পরিকল্পনা প্রস্তুত করা হচ্ছে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

Most Popular

Recent Comments