সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ মোট ৪৫ জনের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত alleged গণহত্যার প্রমাণ সংগ্রহ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। রোববার (২০ এপ্রিল) এ তথ্য জানান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
তিনি ট্রাইব্যুনালকে জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গণহত্যা, পূর্বপরিকল্পিত সহিংসতা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার বহু তথ্য ও সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে। এসব অপরাধ সংঘটিত হয়েছে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ও প্রশাসনিক সুবিধা ব্যবহার করে সাধারণ নাগরিকদের বিরুদ্ধে।
আদালত শুনানি শেষে প্রসিকিউশনকে আগামী ২০ জুলাইয়ের মধ্যে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। এ আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচার বেঞ্চ।
সকালেই শুনানির জন্য ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয় সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ মোট ১৯ জনকে। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন—
- সাবেক মন্ত্রীরা: আনিসুল হক, ফারুক খান, ডা. দীপু মনি, আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, গোলাম দস্তগীর গাজী, আমির হোসেন আমু, কামরুল ইসলাম
- রাজনৈতিক নেতারা: রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু
- প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা: তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, সালমান এফ রহমান
- সাবেক প্রতিমন্ত্রীরা: কামাল আহমেদ মজুমদার, জুনায়েদ আহমেদ পলক
- অন্যান্য: সাবেক এমপি সোলাইমান সেলিম, আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, এবং এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউল আহসান।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, তদন্তের প্রায় সমাপ্তিতে এসে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যে সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে, তা যথেষ্ট শক্তিশালী এবং স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত করে যে তারা সংঘবদ্ধভাবে এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে এ ধরনের ভয়াবহ অপরাধ সংঘটিত করেছেন।
এই মামলার পরবর্তী কার্যক্রম নির্ধারণ হবে তদন্ত প্রতিবেদন জমার পর। ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে, ওই প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।