খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের একমাত্র দাবিতে শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন চলমান রয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টা পর্যন্ত ২৯ জন শিক্ষার্থী অনশনে অংশ নিচ্ছেন। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার বিকাল ৪টায় ৩২ জন শিক্ষার্থী অনশন শুরু করেন। এর মধ্যে একজন মায়ের অসুস্থতার কারণে বাড়ি ফিরে যান এবং দুজন শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
অনশন দীর্ঘায়িত হওয়ায় শিক্ষার্থীরা শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছেন। তাদের একমাত্র প্রত্যাশা—দাবি মেনে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সমাধানে এগিয়ে আসবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ দপ্তরের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার সকালে শিক্ষার্থীদের অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে আলোচনায় বসার অনুরোধ জানানো হয়। ছাত্র কল্যাণ পরিচালক ড. মো. আব্দুল্লাহ ইলিয়াস নিজে অনশনস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর নেন এবং অনুরোধ জানান আলোচনার টেবিলে ফিরে আসার।
এর আগেও সোমবার দুপুর আড়াইটায় ছাত্র কল্যাণ দপ্তরের পরিচালক, সহকারী পরিচালক, ডেপুটি পরিচালকসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক অনশনস্থল স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের বারান্দায় অবস্থান নেন। টানা আড়াই ঘণ্টা আলোচনা করেও শিক্ষার্থীদের মনোভাব বদলাতে ব্যর্থ হন এবং পরে তারা স্থান ত্যাগ করেন।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, উপাচার্যের পদত্যাগ ছাড়া অন্য কোনো প্রস্তাব তারা মানবেন না। এক দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অনশন চলবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি ‘রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস’ নিশ্চিত করার দাবিতে আয়োজিত কর্মসূচিতে হামলার ঘটনা ঘটে, যাতে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। ওই ঘটনার পর থেকেই শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলন করে আসছেন।