কাশ্মীরের পেহেলগামে মঙ্গলবার সংঘটিত পর্যটকদের ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় গোটা ভারতজুড়ে নেমে এসেছে শোক ও ক্ষোভের ঢেউ। এই বর্বর হামলার জন্য সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো ও ক্ষমতাসীন বিজেপির নেতারা। প্রতিবাদে রাজপথে নেমে এসেছে হাজার হাজার মানুষ, যারা কড়া স্লোগানে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। অনেক হিন্দুত্ববাদী নেতা দেশটির বিরুদ্ধে এমনকি ‘মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার’ হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন।
ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রতিবাদে অংশ নিয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। পাশাপাশি, জনতার একটি বড় অংশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগ দাবি করে বলেছেন, এ ঘটনা নিরাপত্তা ব্যবস্থার চরম ব্যর্থতার বহিঃপ্রকাশ।
জানা গেছে, হামলাকারীরা পরিকল্পিতভাবে ছুটি কাটাতে আসা নিরীহ পর্যটকদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে বহু সাধারণ মানুষ নিহত ও আহত হন। প্রশাসন নিহতদের পরিবারকে ১০ লাখ রুপি এবং গুরুতর আহতদের ২ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
এই মর্মান্তিক ঘটনার পর, কাশ্মীরজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে প্রতিবাদের ঝড়। রাজপথে মোমবাতি মিছিল, পাকিস্তান বিরোধী স্লোগান, এবং হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেয়। রাজনীতিক ফায়াজ আহমেদ মীর ও আসাউদ্দিন ওয়েইসি এই হামলার তীব্র নিন্দা জানান এবং দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তুলেছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন এবং আশ্বাস দেন, হামলার পেছনে যারা রয়েছে তাদের কাউকেই ছাড়া হবে না—প্রত্যেক হত্যার জবাব দিতে হবে তাদের।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কাশ্মীর উপত্যকায় সহিংসতা কমে যাওয়ায় পর্যটন শিল্প ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা জাগিয়েছিল। কিন্তু এই হামলা নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছে এবং উপত্যকায় অস্থিরতা ফের মাথাচাড়া দিয়েছে।