কানাডায় সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টি। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ এবং কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য করার প্রস্তাবের মতো বিতর্কিত ঘোষণার মধ্যেই এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এমন প্রেক্ষাপটে জাতীয় নির্বাচনটি বেশ আলোচিত ছিল এবং শেষ পর্যন্ত ভোটাররা আবারও লিবারেল পার্টির পক্ষেই রায় দিয়েছেন।
সোমবার গভীর রাতে কানাডার রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিবিসি ও সিটিভি নিউজ জানায়, ৩৪৩ আসনের পার্লামেন্টে সর্বোচ্চ আসন অর্জন করেছে লিবারেল পার্টি। ফলে দলটি সরকার গঠনের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে দলীয় প্রধান মার্ক কার্নি সংসদে পূর্ণসংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছেন কিনা, তা এখনো নিশ্চিত হয়নি। সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে তাকে ছোট কোনো দলের সমর্থনে জোট সরকার গঠন করতে হতে পারে।
অর্থনীতিবিদ থেকে রাজনীতিক হিসেবে আত্মপ্রকাশকারী কার্নি তাঁর প্রচারে নিজেকে ট্রাম্প প্রশাসনের চাপে পড়া কানাডার স্বার্থরক্ষায় দৃঢ় নেতা হিসেবে তুলে ধরেন। ট্রাম্পের শুল্ক নীতি, সীমান্ত নিরাপত্তা ও বাণিজ্য চুক্তি সংশোধন নিয়ে কঠোর অবস্থানের কারণে এ নির্বাচন কানাডার জন্য এক বড় রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছিল।
এর আগে, গত ডিসেম্বরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে বৈঠক করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। বৈঠকে ট্রুডো ট্রাম্পের অভিবাসন ও বাণিজ্যনীতি নিয়ে কড়া সমালোচনা করেন। জবাবে ট্রাম্প কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য করার প্রস্তাব দেন, যা রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়।