ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে কঠোর ভাষায় সমালোচনা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কীর্তি আজাদ। তিনি অভিযোগ করেন, কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে মোদি সরকার এবং পুরো ঘটনাকে একটি ‘নাটক’ হিসেবে সাজানো হয়েছে।
শনিবার (৩ মে) হিন্দুস্তান টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তান নতুন করে ভারতকে হুমকি দিয়ে বলেছে—যদি সিন্ধু নদে বাঁধ নির্মাণ করা হয়, তবে সেটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। এমন হুমকির পরও ভারত সরকার এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি।
এই পরিস্থিতি ঘিরে কীর্তি আজাদ সরাসরি মোদি সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, দেশের গোয়েন্দা সংস্থা কার্যত ব্যর্থ। বিজেপি একদিকে পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ নিয়ে প্রচার চালাচ্ছে, অন্যদিকে দেশের অভ্যন্তরে জঙ্গিদের প্রবেশ করিয়ে যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি তৈরি করছে।
তিনি আরও বলেন, বিজেপি আসলে “টাই টাই, ফিস ফিস আর ঠনঠন গোপাল” কৌশল খেলছে, যার লক্ষ্য দেশের ভিতরে অস্থিরতা তৈরি করা।
কীর্তি আজাদ এও উল্লেখ করেন, পশ্চিমবঙ্গের বিএসএফ সদস্য পূর্ণম কুমার সাউ বর্তমানে পাকিস্তানে আটক রয়েছেন। তাকে ফিরিয়ে আনতে ভারতের ব্যর্থতা মোদি সরকারের নিরাপত্তা নীতির অযোগ্যতা প্রমাণ করে।
তিনি আরও বলেন, মোদি পেহেলগাম সফর করেননি, এমনকি কাশ্মীর ইস্যুতে সর্বদলীয় বৈঠকেও অংশ নেননি, অথচ ভোটের জন্য বিহার সফরে ব্যস্ত। এটি অত্যন্ত লজ্জাজনক।
সবশেষে কীর্তি আজাদ বলেন, দেশের গোয়েন্দা বিভাগ যদি এভাবে বারবার ব্যর্থ হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? বিজেপি এখন দেশের নিরাপত্তা ইস্যুকেই রাজনৈতিক সুবিধার হাতিয়ার বানিয়েছে, যা দেশের জন্য চরম হুমকি।