বাংলাদেশ সরকার ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বুধবার (৭ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারত-পাকিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। উভয় পক্ষকে শান্ত ও সংযত থাকার আহ্বান জানানো হচ্ছে, যাতে উত্তেজনা আরও বাড়ে এমন কোনো পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আঞ্চলিক শান্তি, উন্নয়ন এবং স্থিতিশীলতার স্বার্থে বাংলাদেশ বিশ্বাস করে যে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমেই সংকট নিরসন সম্ভব। এ অঞ্চলের মানুষের শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যতের জন্য সকল পক্ষের দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশিত।
প্রসঙ্গত, জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে একটি ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিরীহ মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। এর প্রতিক্রিয়ায় ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে একটি সামরিক অভিযান চালিয়ে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর (পিওকে) এবং পাঞ্জাব প্রদেশে সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলোতে হামলা চালায়। ভারত দাবি করেছে, এই অভিযানে কোনো সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করা হয়নি, বরং এটি ছিল সুনির্দিষ্ট, সীমিত এবং উত্তেজনা না বাড়ানো ধাঁচের।
অন্যদিকে পাকিস্তান জবাবে পাল্টা হামলা চালায়। পাকিস্তানি বিমান বাহিনীর অভিযানে ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান, একটি ড্রোন এবং একটি ব্রিগেড সদর দপ্তর ধ্বংস হয়েছে বলে পাকিস্তানি সূত্র দাবি করেছে।
মঙ্গলবার রাত থেকেই সীমান্ত অঞ্চলে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। লাইন অব কন্ট্রোল (এলওসি) বরাবর ভারত ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মধ্যে গোলাগুলি এবং মর্টার হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স, পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের বরাতে।
এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের অবস্থান স্পষ্ট — কূটনৈতিকভাবে সমাধান হোক, যুদ্ধ নয়।