ভবিষ্যতের নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য রাখতে ভোট প্রচারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে কাজ শুরু করেছে সংস্থাটি।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) নির্বাচন ভবনে কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, “এআই-এর অপব্যবহার আমাদের জন্য একটি হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বিষয়ে কানাডা আমাদের সহায়তা করার আশ্বাস দিয়েছে, কারণ তাদেরও গত নির্বাচনে একই সমস্যার মোকাবিলা করতে হয়েছে। তাদের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা পরামর্শ চেয়েছি এবং গুরুত্ব সহকারে এ নিয়ে কাজ করছি।”
প্রায় দেড় ঘণ্টার বৈঠকে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতির নানা দিক তুলে ধরা হয়। সিইসি জানান, “কানাডা জানতে চেয়েছে আমাদের প্রস্তুতির অগ্রগতি ও সক্ষমতা সম্পর্কে। আমরা জানিয়েছি, দেশব্যাপী ভোটারদের সচেতন করতে ভোটার এডুকেশন কার্যক্রম শুরু করবো।”
তিনি আরও বলেন, “ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ, নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও রাজনৈতিক দলগুলোর এজেন্টদের প্রশিক্ষণসহ নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট প্রতিটি ক্ষেত্রে কানাডা সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে।”
নারীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি, বিশেষ করে পার্বত্য এলাকায় ভোটার সচেতনতা কার্যক্রমের বিষয়ে কানাডা আগ্রহ দেখিয়েছে বলেও জানান সিইসি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা তাদের জানিয়েছি যে, এসব বিষয়েও আমাদের প্রস্তুতি চলছে।”
ভোটের নির্দিষ্ট তারিখ বা সময়সীমা সম্পর্কে জানতে চেয়েছিল কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, “হাইকমিশনার জানতে চেয়েছেন নির্বাচনের দিন নির্ধারণ হয়েছে কিনা। আমি বলেছি—না, এখনও নির্ধারিত হয়নি। যখন হবে, তখনই যথাসময়ে তফসিল ঘোষণা করা হবে।”
ভোটে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) পর্যবেক্ষক হিসেবে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এবং এ সংক্রান্ত নীতিমালা প্রায় চূড়ান্ত। সিইসি বলেন, “আমরা ইইউকে বলেছি, আগেভাগে জানাতে যেন তারা প্রস্তুতি নিতে পারে। কারণ, ২৮টি দেশ থেকে পর্যবেক্ষকদের পাঠাতে হলে সমন্বয়ের প্রয়োজন হয়।”
সিইসি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে আগামি নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য।