রেকর্ড পরিমাণ ৩৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের কারণে পানিতে ডুবে যাচ্ছে ফেনী শহরের বিভিন্ন এলাকা। বিকেল ৪টার দিকে মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল কাশেম। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, পানির এমন অস্বাভাবিক বৃদ্ধি বন্যা পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধগুলোর ব্যাপারে স্থানীয়দের সতর্ক করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, টানা বৃষ্টির কারণে ফেনী শহরের ডাক্তারপাড়া, শহীদ শহিদুল্লাহ কায়সার সড়ক, পুরাতন রেজিস্ট্রি অফিস এলাকা, শাহীন একাডেমি, পাঠানবাড়ি, নাজির রোড, মিজান রোড, সদর হাসপাতাল মোড় এবং পেট্রোবাংলা সংলগ্ন এলাকাগুলোতে মারাত্মক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। নিচু রাস্তা ও দোকানপাট পানিতে তলিয়ে গেছে, ফলে ব্যবসায়ীরা চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
ফেনী পৌর হকার্স মার্কেটের ব্যবসায়ী আবদুর রহমান ফারহান বলেন, “সকাল থেকে দোকানে পানি উঠে মালপত্র নষ্ট হচ্ছে। গত বছরের বন্যার ক্ষতিই এখনো কাটিয়ে উঠতে পারিনি। বর্ষা মৌসুমের আগেই যদি ড্রেনেজ ব্যবস্থা ঠিক করা হতো, তাহলে এত বড় ক্ষতি হতো না।”
এদিকে ছাগলনাইয়ার আবদুল হক ডিগ্রি কলেজের এক শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, “দুপুর ২টা থেকে অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা। কিন্তু টানা বৃষ্টির মধ্যে ভেসে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি। কীভাবে কেন্দ্রে পৌঁছাব বুঝতে পারছি না। কর্তৃপক্ষ যদি পরীক্ষা স্থগিত করতো, তবে আমাদের জন্য অনেক সহজ হতো।”
জলাবদ্ধতা প্রসঙ্গে ফেনী পৌর প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক গোলাম মো. বাতেন জানান, অতিবৃষ্টি ও দুর্বল ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি থেমে গেলে পানি নেমে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে পৌরসভার সাতটি টিম পানি নিষ্কাশনে কাজ শুরু করেছে।