বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু ব্যক্তিগতভাবে নয়, আওয়ামী লীগ দল হিসেবেও গণহত্যার জন্য দায়ী। বুধবার (৯ জুলাই) রাজধানীর নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস ও অধ্যাপক সিরাজ উদ্দিন আহমেদকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করি শেখ হাসিনা সরাসরি হাজার হাজার মানুষের হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী। ইতোমধ্যে তার বিচার শুরু হয়েছে। আমরা আশা করি, যারা এই গণহত্যা ও ফ্যাসিস্ট দমন-পীড়নে অংশ নিয়েছে, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে আওয়ামী লীগের দলগত বিচারও হওয়া উচিত।”
নিজ দলের ভোগান্তির কথা উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে বিএনপিই সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছে। আমি নিজেই ১১২টি মামলার আসামি ছিলাম, এবং ১৩ বার কারাবরণ করেছি।”
তিনি বলেন, “ফ্যাসিবাদের পক্ষে যারা কাজ করেছে, বিশেষ করে আওয়ামী লীগের হয়ে, তাদের প্রত্যেকের বিচার হওয়া উচিত। এদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে আইনের মাধ্যমে।”
নির্বাচন বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “গণতন্ত্র রক্ষার জন্য বিএনপিই সবচেয়ে বেশি সংগ্রাম করেছে। একদলীয় শাসনব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং পরে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বিএনপি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “যত দ্রুত দেশকে সঠিক নির্বাচনী ধারায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে, ততই দেশের কল্যাণ। আমরা বলছি—নির্বাচন প্রয়োজন জনগণের জন্য। নির্বাচিত সরকারই জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থাকে। এ কারণেই আমরা সংস্কার প্রক্রিয়ায় অংশ নিচ্ছি। সংস্কার এবং নির্বাচনের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব নেই, বরং দুটিই একসঙ্গে চলা উচিত।”
ফখরুল বলেন, “যারা মনে করেন, দেশে নির্বাচনের প্রয়োজন নেই, তাদের বিষয়টি আবার চিন্তা করে দেখা উচিত।”