নির্বাচন কমিশন (ইসি) নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, শাপলা জাতীয় প্রতীক হওয়ায় কোনো রাজনৈতিক দলের নির্বাচনি প্রতীক হিসেবে শাপলা ব্যবহার করা যাবে না।
বুধবার নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ জানিয়েছেন, নাগরিক ঐক্য দল কেটলির বদলে শাপলাকে দলীয় প্রতীক হিসেবে দাবি করেছিল। একই সঙ্গে নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) শাপলা চেয়ে নিবন্ধনের সময় আবেদন করেছিল।
তবে জাতীয় প্রতীক হওয়ায় শাপলাকে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে না। মাছউদ বলেন, “নতুন প্রস্তাবিত প্রতীক তালিকায় শাপলা থাকবে না এবং নির্বাচনি প্রতীক হিসেবে সেটি আমাদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে না। আমরা এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইসি গত ৬৯টির পরিবর্তে অন্তত ১১৫টি প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার পরিকল্পনা করছে। এজন্য নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালায় প্রতীক তালিকার সংশোধনী শীঘ্রই আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
নির্বাচন কমিশনার মাছউদ বলেন, সংবিধানে জাতীয় প্রতীক ও জাতীয় পতাকার মর্যাদা রক্ষায় সুস্পষ্ট আইন রয়েছে। “জাতীয় ফুল ও পতাকার মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখার জন্য বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। তাই শাপলাকে ভোটের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।”