গাজা যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মধ্যে ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসে প্রায় ৯০ মিনিট ধরে বৈঠক হয়। তবে আলোচনার পর কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি বা চুক্তি আসেনি।
ট্রাম্প আগেই গাজা সংকটকে ‘একটি মানবিক ট্র্যাজেডি’ বলে অভিহিত করেছিলেন এবং টেকসই সমাধানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। যদিও রাজনৈতিক ও নিরাপত্তাজনিত কাঠামো নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের মধ্যে মতপার্থক্য স্পষ্টই থেকে গেছে।
এদিকে ৬ জুলাই দোহায় কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা আবার শুরু হয়েছে। মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের একটি খসড়া চুক্তির ভিত্তিতে যুদ্ধবিরতি, জিম্মি মুক্তি এবং গাজার মানবিক পরিস্থিতি উন্নয়নের চেষ্টা চলছে।
তবে নেতানিয়াহু বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলের অভিযান এখনো শেষ হয়নি। “আমাদের এখনো হামাসের সামরিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা ধ্বংস করতে হবে এবং সব জিম্মিকে মুক্ত করতে হবে,”—বলেন তিনি।
ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানায়, যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য নেতানিয়াহু প্রচণ্ড রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে রয়েছেন, কিন্তু চুক্তির অগ্রগতি এখনও অনিশ্চিত।
বিশেষ করে রাফাহ শহরকে ঘিরে রয়েছে বড় ধরনের মতবিরোধ। ইসরায়েলের পরিকল্পিত ‘টেন্ট সিটি’ ঘিরে বিতর্ক তীব্র হচ্ছে, যা গাজার জনসংখ্যাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যবহৃত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যদিও ট্রাম্প অতীতেও নেতানিয়াহুর প্রতি জোরালো সমর্থন দেখিয়েছেন, তবে বর্তমান যুদ্ধবিরতি আলোচনায় দুই দেশের মধ্যে সমন্বয় থাকলেও মতানৈক্য এখনও কাটেনি বলে ইঙ্গিত মিলেছে নেতানিয়াহুর বক্তব্য থেকে।