ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে প্যারিস সেন্ট জার্মেইনের (পিএসজি) বিপক্ষে বিধ্বস্ত হয়ে মাঠ ছাড়তে হলো রিয়াল মাদ্রিদকে। ইউরোপীয় ফুটবলের অন্যতম শক্তিশালী দলটি ৪-০ গোলের ব্যবধানে হার মেনে বিদায় নিয়েছে আসর থেকে। নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় গতকাল রাতের এই ম্যাচে রিয়ালকে একেবারে ছিন্নভিন্ন করে ছাড়ে লুইস এনরিকের দল। দুর্দান্ত এই জয়ে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা নিশ্চিত করেছে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনাল, যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ইংলিশ ক্লাব চেলসি।
ম্যাচের শুরু থেকেই পিএসজি নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে মরিয়া ছিল। ম্যাচের প্রথম ২৪ মিনিটেই তারা তিন গোল করে বসে। রিয়ালের রক্ষণভাগ তখন একেবারেই দিশেহারা। ম্যাচের মাত্র ছয় মিনিটেই রাউল আসেনসিওর ভুলে বল পেয়ে যান উসমান দেম্বেলে। তার শট ঠেকিয়ে দিলেও ফিরতি বলে ফাবিয়ান রুইজ সহজেই গোল করেন। তিন মিনিট পর আরেকটি ভুলের সুযোগ নিয়ে গোল করেন দেম্বেলে। এটি ছিল মৌসুমে তাঁর ৩৫তম গোল। ২৪ মিনিটে আরও একটি গোল করে ব্যবধান ৩-০ করেন রুইজ। প্রথমার্ধেই কার্যত ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে রিয়াল।
বিরতির পর পিএসজির খিচা কাভারাস্কাইয়ার একটি নিশ্চিত গোল মিস এবং দেজিরে দুয়ের একটি অফসাইড গোল ছাড়া তারা ছিল আগ্রাসী ও সংগঠিত। ম্যাচের শেষদিকে, ৮৭ মিনিটে বদলি খেলোয়াড় ব্রাডলি বারকোলার পাস থেকে চতুর্থ গোলটি করেন গনসালো রামোস। একের পর এক আক্রমণে পিএসজি বুঝিয়ে দেয়, কেন তারা এই মৌসুমে ফ্রেঞ্চ কাপ, লিগ আঁ এবং চ্যাম্পিয়নস লিগ জয় করে এসেছে।
রিয়ালের পক্ষে কিছুটা সাহস জুগিয়েছিল গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়ার কয়েকটি দুর্দান্ত সেভ। কিন্তু রক্ষণভাগের দুর্বলতা এবং মিডফিল্ডে ধারহীনতা তাদের বড় ব্যবধানে হারিয়ে দেয়। সেন্টারব্যাক ডিন হাউসেন ও ট্রেন্ট-আলেক্সান্ডার আর্নল্ড চোটের কারণে না থাকায় রিয়ালের রক্ষণ ছিল অগোছালো। অনেক প্রতীক্ষিত ফাইনালে পিএসজির হয়ে মাঠে নামেন সাবেক রিয়াল তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে, যদিও প্রত্যাশিত ছন্দে ছিলেন না তিনি।
এ ম্যাচের মাধ্যমে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে শেষবারের মতো মাঠে নামেন ক্রোয়াট তারকা লুকা মদরিচ। ৩৯ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার ক্লাব বিশ্বকাপ শেষেই রিয়াল ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন।