বরগুনার আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নে বিএনপির প্রস্তুতি সভা শেষে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ১১ জনকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) তালুকদার বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ১৭ জুলাই চাওড়া ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিল উপলক্ষে তালুকদার বাজারের একটি মাদরাসায় প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়। এতে ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। সভার এক পর্যায়ে ৮ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি পদ নিয়ে ছালাম মল্লিক ও হাসান বয়াতির মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়।
তর্কের জেরে হাসান বয়াতির ভাইয়ের ছেলে সোহাগ বয়াতিকে ছালাম মল্লিকের ছেলে শাহীন মল্লিক মারধর করে। বিষয়টি জানতে সোহাগের বাবা ইদ্রিস বয়াতি ঘটনাস্থলে গেলে কথাকাটাকাটি থেকে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে চৌরাস্তার মোড়েও আবার সংঘর্ষ ঘটে।
এ ঘটনায় উভয়পক্ষের আহতদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ব্যক্তিরা হলেন—ইদ্রিস বয়াতি (৪০), সাগর (১৫), আল মামুন (২৬), সোহাগ বয়াতি (২১), ইমরান মাতুব্বর (১৮), হিরণ মৃধা (২৩), হাসান বয়াতি (৩২), শাহীন মল্লিক (২৫), সালাম মল্লিক (৫২), নুর আলম মল্লিক (২১) ও আসিফ মল্লিক (২২)। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
সভাপতি পদপ্রার্থী হাসান বয়াতি অভিযোগ করে বলেন, ছালাম মল্লিক আগে ১৬ বছর আওয়ামী লীগ করেছেন। এখন তিনি বিএনপির কমিটিতে পদ চান। আমার ভাইয়ের ছেলে সোহাগ প্রতিবাদ করায় তাকে মারধর করা হয়।
অন্যদিকে ছালাম মল্লিক বলেন, তার ছেলের সঙ্গে তর্কের একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয় এবং এতে তাদের পক্ষের পাঁচজন আহত হয়েছে।
চাওড়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক রেজাউল করিম পান্না জানান, পদ-পদবি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি থেকে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধা বলেন, ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।