ক্ষমতায় আসার আগেই একটি রাজনৈতিক দল খুন, ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে— এমন অভিযোগ তুলে তাদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। সংগঠনটি বলেছে, যারা নিজেদের দলের লোকদেরই নিরাপত্তা দিতে পারে না, তারা কিভাবে দেশের মানুষের নিরাপত্তা দেবে?
শনিবার (১২ জুলাই) সারা দেশে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা ছাত্রশিবির আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল শেষে মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে এসব কথা বলেন সংগঠনের নেতারা।
সমাবেশে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েম বলেন, “জুলাই বিপ্লবের শহীদরা বৈষম্যহীন একটি বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। অথচ আমরা আজ সেই স্বপ্নকে ভেঙে দিতে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি, গণধর্ষণ ও পাথর দিয়ে মানুষ হত্যার মতো বর্বরতা প্রত্যক্ষ করছি।”
তিনি আরও বলেন, “২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আমাদের ভাইদের প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়েছিল। এখন আবার একটি দল সেই একই পথে হাঁটছে। আমরা তাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে দেব না।”
ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ সিবগা বলেন, “মিটফোর্ডে আমাদের ভাইকে হত্যার মাধ্যমে আমাদের আতঙ্কিত করার চেষ্টা চলছে। তারা দেশের গ্রাম-গঞ্জ, হাট-বাজার কোনো জায়গা বাদ রাখেনি, সবখানে চাঁদাবাজি চালিয়েছে। জনগণ যেভাবে ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিতাড়িত করেছে, এই চাঁদাবাজদেরও তেমনই প্রতিহত করবে।”
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, “জুলাই বিপ্লবে আমরা আওয়ামী জাহেলিয়াতকে দাফন করেছি, কিন্তু এখন আবার জাতীয়তাবাদী জাহেলিয়াত মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। ছাত্র জনতা এখনো সজাগ রয়েছে। সন্ত্রাসীদের লাগাম না টানলে ছাত্র সমাজ রাজপথে নেমে তা প্রতিহত করবে।”
বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ছাত্রধিকার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর পূর্বের সভাপতি আসিফ আব্দুল্লাহসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
Top of Form
Bottom of Form