বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স ঘিরে কোচিং স্টাফের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, বিশেষ করে সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ও প্রধান কোচ ফিল সিমন্সকে ঘিরে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে চারজন ওপেনার নিয়ে একাদশ সাজানোয় বিস্ময় তৈরি হয়েছে বিসিবির অভ্যন্তরে। এমন সিদ্ধান্তে সহকারী কোচ সালাউদ্দিনের প্রভাব ছিল বলে গুঞ্জন ছড়িয়েছে। কয়েকজন খেলোয়াড় পক্ষপাতের অভিযোগও করেছেন বলে জানিয়েছেন বোর্ডের এক পরিচালক। তবে এসব অভিযোগ এখনো প্রমাণিত নয়।
বিসিবি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “প্রধান কোচই একাদশ গঠনের মূল সিদ্ধান্ত নেন, কোচিং স্টাফ কেবল সহায়তা করেন।”
প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু বলেন, “কোনো কোচ খেলোয়াড় পছন্দ অনুযায়ী দলে ভেড়াতে পারেন না। নির্বাচক প্যানেল স্বাধীনভাবে কাজ করে।”
টিম ম্যানেজমেন্ট সূত্র জানায়, সিরিজের শুরুতে প্রধান কোচ সিমন্স খেলোয়াড়দের ভালোভাবে না জানায় সালাউদ্দিনের ওপর কিছুটা নির্ভর করতেন, তবে সময়ের সঙ্গে সেই নির্ভরতা কমেছে।
বিদেশ সফরে এক কোচ জানান, “সালাউদ্দিনের কাজ মূলত মাঠে নির্দেশনা বাস্তবায়ন, কে কখন ব্যাট করবে তা নিশ্চিত করা—একাদশ গঠনে তার সরাসরি কোনো ভূমিকা নেই।”
তবে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে—যদি প্রভাব না থাকে, তাহলে পক্ষপাতের অভিযোগ উঠছে কেন? বোর্ডের অভ্যন্তরে এ নিয়ে আলোচনা চলছেই। কোচিং স্টাফে পরিবর্তন এলে সালাউদ্দিনের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে বলেও মত দিয়েছেন ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা।