মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব শায়খ ড. বান্দার বালীলাহ বলেন, আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাদের প্রতি বহু রকমে করুণা ও দয়া বর্ষণ করেন। এর অন্যতম প্রমাণ হলো— তিনি তাদের হেদায়াতের জন্য আসমানি কিতাবসমূহ নাজিল করেছেন, রাসূলদের প্রেরণ করেছেন, তাদের গুনাহের কারণে তৎক্ষণাৎ শাস্তি দেননি, বরং তওবার সুযোগ দিয়েছেন এবং নিজের দিকে ফিরে আসার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
শুক্রবার (১২ জুলাই) পবিত্র জুমার খুতবায় তিনি এসব কথা বলেন। খতিব আরও বলেন, যারা আন্তরিকভাবে তওবা করে, আল্লাহ তায়ালা তাদের গুনাহসমূহ মাফ করে দেন এবং সেই পাপগুলোকে নেক আমলে রূপান্তরিত করে দেন।
উল্লেখ্য, মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীতে একাধিক ইমাম ও খতিব নিয়োজিত আছেন, যারা হারামাইন শরিফাইনের পরিচালনা বোর্ডের সময়সূচি অনুযায়ী জুমা ও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে ইমামতি করেন।
মুসলিম বিশ্বের জন্য মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববী অত্যন্ত সম্মানিত ও পবিত্র স্থান। এখানে নামাজ আদায়ের রয়েছে বিশেষ ফজিলত।
হজরত আবু দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন,
“মসজিদে হারামে এক নামাজের সওয়াব এক লাখ নামাজের সমান, মসজিদে নববীতে এক নামাজ এক হাজার নামাজের সমান এবং বাইতুল মুকাদ্দাসে এক নামাজ ৫০০ নামাজের সমান।“
— (মাজমাউয যাওয়াইদ, ৪/১১)
এই খুতবা মুসলিমদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে— আল্লাহর রহমতের দ্বার সবসময় খোলা, শুধুমাত্র ফিরে আসার আন্তরিকতা থাকতে হবে।