রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী চাঁদ সোহাগকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় যুবদলের কিছু নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ৯ জুলাই সংঘটিত এ হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ও ছবি ১১ জুলাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে সৃষ্টি হয় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভের ঝড়।
ঘটনার পর সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঢাবি, জবি, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। ছাত্রদলের অভ্যন্তরেও শুরু হয় তীব্র প্রতিক্রিয়া। এরই ধারাবাহিকতায় সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের ৯ জন নেতাকর্মী সংগঠন থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্যসেন হল শাখার কর্মী মোহাম্মদ আবু সায়ীদ ফেসবুক পোস্টে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে বিএনপিকে ‘পরিবারতান্ত্রিক ও গণতন্ত্রবিচ্যুত দল’ হিসেবে আখ্যা দেন।
আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. লিসানুল আলম লিসান লেখেন, “বাংলাদেশের মাটির ঊর্ধ্বে আমার কাছে কিছুই মূল্যবান না। তবুও চাই দেশে শান্তি ফিরুক।”
এছাড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক সদস্য পারভেজ রানা প্রান্ত, রাকিবুল হাসান রানা—দুজনেই নীতিহীন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে সংগঠন থেকে সরে দাঁড়ান।
সরকারি বাঙলা কলেজ ছাত্রদলের নেতা রাসেল মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে লেখেন, “সুবিধাভোগী নেতাদের জন্য আর গালি শুনে গুনাহ কামাতে চাই না। তাই সম্পূর্ণভাবে ছাত্রদল থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি।”
অন্যদিকে, মৌলভীবাজার জেলা শাখার সদস্য মুহাম্মাদ রাব্বি মিয়া, গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি জাহিমুর রহমান জিসান, সাংগঠনিক সম্পাদক ইশতিয়াক রহমান ও সিলেট চুনারুঘাট উপজেলার ৯ নম্বর ওয়ার্ড শাখার সহসভাপতি আরিফুল ইসলাম ইমরুলও পদত্যাগ করেন।
তাদের প্রত্যেকের বক্তব্যে ফুটে উঠেছে ছাত্রদল ও বিএনপির অঙ্গসংগঠনের সাম্প্রতিক সহিংসতা ও অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে গভীর অসন্তোষ ও ভবিষ্যতের জন্য একটি নৈতিক রাজনীতির প্রত্যাশা।
Ask ChatGPT