বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত থাকলেও নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত প্রতীক তালিকায় এখনও ‘নৌকা’ প্রতীক অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা আইনসঙ্গত নয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম মূসা।
রোববার (১৩ জুলাই) নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে নিবন্ধন ও প্রতীক সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি জানান, উত্থাপিত বিষয়টি নির্বাচন কমিশন গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে।
প্রতীক বরাদ্দ প্রসঙ্গে জহিরুল ইসলাম বলেন, “আমরা শাপলা, কলম ও মোবাইল প্রতীক চাইলেও শাপলাই আমাদের প্রধান পছন্দ। এই প্রতীকটি বরাদ্দ পেতে আমরা আইনগত দিক থেকে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছি।”
তিনি আরও বলেন, “যদিও নাগরিক ঐক্য পূর্বে শাপলা প্রতীক চেয়েছিল, কিন্তু তাদের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে কেটলি। তারা যদি নতুন প্রতীক পেতে চায়, তবে সেটি নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করে পেতে হবে। এ ক্ষেত্রে আমাদের আবেদন নতুন দল হিসেবে আইনি সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে।”
জহিরুল জানান, “গত ২২ জুন আমরা নির্বাচন কমিশনে ৪৩,৩১৬ পৃষ্ঠার একটি পূর্ণাঙ্গ নিবন্ধন আবেদন জমা দিয়েছি। তার অগ্রগতি জানতে চেয়েছি এবং কমিশন চাইলে প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত তথ্য দিতে আমরা প্রস্তুত আছি।”
বৈঠকে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দিন পাটওয়ারী, উত্তরাঞ্চলের সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ও যুগ্ম অভিযোগকারী খালিদ সাইফুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১২ মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞার ভিত্তিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, তাদের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন স্থগিত করে। তবুও এখন পর্যন্ত প্রতীক তালিকায় ‘নৌকা’ প্রতীক বহাল থাকায় তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এনসিপি।