ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে একদিনে নিখোঁজ হয় দুটি শিশু—সিফাত হাসান (১০) ও আইমান সাদাব (৫)। এর মধ্যে মুক্তিপণ আদায় করতে না পেরে অপহরণকারীরা সিফাতকে হত্যা করে লাশ ফেলে রাখে পুকুরে।
শনিবার (১২ জুলাই) সকালে বাড়ি থেকে প্রায় ২০০ গজ দূরের একটি পুকুর থেকে সিফাতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত সিফাত পাগলা থানার পাঁচবাগ ইউনিয়নের চরশাঁখচূড়া গ্রামের প্রবাসী নূর ইসলামের ছেলে এবং স্থানীয় চরশাঁখচূড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
অন্যদিকে, একই সময়ে নিখোঁজ হয় দিঘীরপাড় গ্রামের আইমান সাদাব। সে সৌদি প্রবাসী আল-আমিনের ছেলে।
নিহত সিফাতের পরিবারের সদস্যরা জানান, শুক্রবার দুপুরে বাড়ির পাশে খেলার সময় অজ্ঞাত ব্যক্তিরা সিফাতকে তুলে নিয়ে যায়। সিফাতের মা কবিতা বেগম জানান, ঘটনার সময় তিনি বাবার বাড়ি পাঁচবাগে ছিলেন। খবর পেয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। পরে তার স্বামী নূর ইসলাম ফোনে জানান, ছেলেকে ফেরত পেতে মুক্তিপণ দিতে হবে।
নূর ইসলাম অপহরণকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে তার ভাগ্নে জিসানকে বলেন। জিসান অপহরণকারীদের দেওয়া বিকাশ নম্বরে ২ হাজার টাকা পাঠান।
অপরদিকে, একই সময় নিখোঁজ হয় পাঁচ বছর বয়সী আইমান সাদাব। সাদাব তার নানা সুলতান মিয়ার বাড়িতে থাকত। স্থানীয় একটি দোকানে হালখাতার মাইক বাজছে শুনে সে সেখানে যায়, এরপর থেকে নিখোঁজ।
সাদাবের নানা সুলতান মিয়া বলেন, কে বা কারা আমার নাতিকে তুলে নিয়েছে বুঝতে পারছি না। কেউ ষড়যন্ত্র করে কিছু করেছে কি না, তাও নিশ্চিত না। এ ঘটনায় পাগলা থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
পাগলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ফেরদৌস আলম জানান, নিহত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিখোঁজ অপর শিশুর সন্ধানে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।