যুবদল নেতা মাহবুব হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া সজলকে দুই দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। রোববার (১৩ জুলাই) খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪ এর বিচারক ফরিদুজ্জামান পুলিশের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন শুনে এই আদেশ দেন।
এর আগে শনিবার (১২ জুলাই) গভীর রাতে খুলনার দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশা পশ্চিমপাড়া এলাকা থেকে সজলকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে ওই এলাকার সাহেব আলীর ছেলে এবং স্থানীয়ভাবে মুদি দোকানের ব্যবসা করতেন।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর আতাহার আলী জানান, হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ না নিলেও সজল মাহবুবের অবস্থান খুনীদের জানিয়ে দিয়েছিল। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দুর্বৃত্তরা মাহবুবকে নির্মমভাবে গুলি করে এবং পায়ের রগ কেটে হত্যা করে। তদন্তের স্বার্থে সজলের দেওয়া তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১১ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে নিজ বাড়ির সামনে প্রাইভেটকার পরিষ্কার করছিলেন যুবদল নেতা মাহবুব। এ সময় মোটরসাইকেলে করে তিন দুর্বৃত্ত এসে তার ওপর এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। মাহবুবের শরীরে ৯টি গুলি লাগে এবং মৃত্যু নিশ্চিত করতে তার পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয়। ঘটনার পরদিন নিহতের বাবা অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তর জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার তাজুল ইসলাম বলেন, সজল হত্যাকাণ্ডে সহযোগী ভূমিকা পালন করেছে, এমন প্রমাণ পাওয়া গেছে। সে গোপনে সংগঠনের তথ্যও সরবরাহ করে। ঘটনার সময় সে কাছাকাছি অবস্থান করছিল এবং দুর্বৃত্তদের তথ্য দিচ্ছিল। রিমান্ডে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে এবং মূল খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।