আগামী ৫ আগস্ট উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বহু আলোচিত জুলাই স্মৃতি জাদুঘর। রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত এই জাদুঘরের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। আজ (১৪ জুলাই) গণভবনে আয়োজিত জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা সম্পর্কিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
ফারুকী বলেন, “৫ আগস্ট জাদুঘরটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলেও সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য এটি কিছু সময় পর উন্মুক্ত করা হবে।” তিনি আরও জানান, এই জাদুঘর এমনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে যেন একজন দর্শনার্থী প্রবেশ করেই জানতে পারেন, কেন হয়েছিল জুলাই বিপ্লব, কেমন ছিল রাজনৈতিক দুঃশাসন এবং কীভাবে ঘটেছিল সেই অভ্যুত্থান।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস. মুরশিদ, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
জাদুঘরের উপস্থাপনাগুলোর মধ্যে থাকবে:
🔹 জুলাই আন্দোলনের স্থিরচিত্র ও ভিডিও
🔹 শহীদদের ব্যবহৃত জামাকাপড় ও চিঠিপত্র
🔹 সময়ের পত্রিকা কাটিং ও অডিও ক্লিপ
🔹 রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড, দমন-পীড়নের দলিল
🔹 এবং আলোচিত সেই স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দেশত্যাগের মুহূর্তের দৃশ্য
জাদুঘরটি পরিচালনার জন্য একটি আইনগত কাঠামোও গঠনের কাজ চলছে বলে জানান ফারুকী। এটি বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের আওতাধীন একটি বিশেষ শাখা হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে।
এই জাদুঘরের মূল লক্ষ্য—দর্শনার্থীদের সামনে একটি দুঃসময়ের বাস্তব চিত্র তুলে ধরা, যাতে ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা যায়।