চেয়ারম্যান পদ নিয়ে বিরোধের জেরে বরগুনার আমতলী উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ইউপি সদস্য সোহেল খান আহত হয়েছেন। রোববার (১৩ জুলাই) দুপুরে খুরিয়ার খেয়াঘাট এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।
আহত সোহেল খানকে তাৎক্ষণিকভাবে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
জানা গেছে, গত বছরের ২৮ এপ্রিল আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী মো. জহিরুল ইসলাম মিঠু মৃধা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। কিন্তু চলতি বছরের ১৯ জুন যুবদল নেতা ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফিরোজ খান তাপস জোরপূর্বক ২১ দিনের জন্য চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। নির্ধারিত সময় শেষে জহিরুল ইসলাম পুনরায় দায়িত্ব গ্রহণ করলে, তাপস তাকে কার্যালয় থেকে সরানোর চেষ্টা করেন।
এই পরিস্থিতিতে সোহেল খান বাধা দিলে তাপসের অনুসারীরা তাকে মারধর করে এবং দুইটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও নৌবাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং যুবদল নেতা তাপস ও তার সহযোগী রাসেল আকনকে আটক করেন।
এ বিষয়ে আমতলী-তালতলী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম মাসুদ জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং দুটি ককটেল বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আমতলীর সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারেক হাসান বলেন, আটক দুইজনকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ জানান, ককটেল বিস্ফোরণ ও সংঘর্ষের ঘটনায় আটক দুইজনের বিরুদ্ধে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।