বিগত দেড় দশকে সংঘটিত প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার করবে বিএনপি—এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানসহ গত ১৫ বছরে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের রক্ত যেন বৃথা না যায়, সে লক্ষ্যে ক্ষমতায় গেলে বিএনপি যথাযথ পদক্ষেপ নেবে এবং তাদের স্বপ্ন ও প্রত্যাশা বাস্তবায়ন করবে।
শনিবার (১২ জুলাই) এক ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় লন্ডন থেকে যুক্ত হয়ে তিনি এই কথা বলেন। সভায় জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত ছাত্রদল নেতাকর্মীদের পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন এবং তাদের বক্তব্য শোনেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, দেশে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে—এই পরিস্থিতিতে সবাইকে সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে। তিনি আশ্বস্ত করেন, বিএনপি শুধু রাজনৈতিক দল হিসেবে নয়, বরং জনগণের পাশে থেকে তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
সভায় জানানো হয়, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদলের ১৪২ জন নেতাকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের একজন ছিলেন মো. আদিল, যিনি চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু গত বছর ১৯ জুলাই নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন। শহীদদের স্মরণে ছাত্রদল ব্যতিক্রমী এই আয়োজন করে।
তারেক রহমান বলেন, বিএনপি সবসময় সংস্কার ও বিচারপ্রক্রিয়াকে গুরুত্ব দিয়েছে। অভিজ্ঞতা থেকে শেখা ও ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক প্রস্তাব তুলে ধরাই দলের নীতিতে অন্তর্ভুক্ত। তিনি আরও বলেন, অন্যায় ও জুলুমের বিরুদ্ধে বিএনপি দৃঢ় অবস্থানে আছে এবং অপরাধ দমনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সরকারকেও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের পতন ঘটলেও দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র না আসায় বিচ্ছিন্নভাবে সহিংস ঘটনা ঘটে চলেছে। তিনি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।