আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করে তাদের যেকোনো রাজনৈতিক তৎপরতার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে বিচারিক প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। যদি তারা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাজনীতিতে সক্রিয় হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
তিনি বলেন, “আমরা প্রথম থেকেই বলেছি, যে কোনো ধরনের উচ্ছৃঙ্খলতা বা মব-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান দৃঢ়। তবে এটাও মাথায় রাখতে হবে, বর্তমানে যেসব পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন, তারা মূলত সেই পুলিশ বাহিনীর অংশ, যাদের আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছরে নিজেদের অনুগতদের দিয়ে নিয়োগ দিয়েছিল। তাই তাদের কাছ থেকে শতভাগ নিরপেক্ষতা একদিনে পাওয়া সম্ভব নয়।”
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনা করে ড. নজরুল বলেন, “শেখ হাসিনা দেশটিকে একটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে রেখে গেছেন। এখন আমাদের সেই ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়াতে হবে। আমরা চেষ্টা করছি ধৈর্য ও সহনশীলতার সঙ্গে সকলের কথা শুনে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার।”
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পানি সম্পদ ও পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, নীলফামারীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।