জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং হামলার ঘটনার জেরে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে গোপালগঞ্জ। এ পরিস্থিতিতে এলাকাজুড়ে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য ২২ ঘণ্টার কারফিউ জারি করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
বুধবার (১৬ জুলাই) রাত ৮টা থেকে শুরু হয়ে এই কারফিউ চলবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ।
এর আগে, বিকেলে সহিংসতা বাড়তে থাকায় গোপালগঞ্জ সদরে ১৪৪ ধারা জারি করে স্থানীয় প্রশাসন।
দুপুরে এনসিপির সমাবেশ শেষে মাদারীপুরে ফেরার পথে কেন্দ্রীয় নেতাদের গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়। এনসিপির দাবি, নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এই হামলায় অংশ নেয়। এতে পুরো শহর জুড়ে শুরু হয় ব্যাপক সংঘর্ষ ও ধ্বংসযজ্ঞ।
পরে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আশ্রয় নেন। সেখান থেকে সেনাবাহিনীর ট্যাঙ্কের সহায়তায় নিরাপদে তাদের সরিয়ে নেওয়া হয়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সারা দেশে শুরু হয়েছে অবরোধ কর্মসূচি। এদিকে হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একইসঙ্গে, জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন।