দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি এক নতুন রাজনীতিক মোড়ে প্রবেশ করেছে। সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ—বিশেষ করে পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে দলীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ঘিরে ‘পরিকল্পিত অপপ্রচার’ এবং দলের অভ্যন্তরে শৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়ে বিএনপি এখন কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
গত সোমবার ঢাকাসহ সারা দেশে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ ও বিশাল সমাবেশের মাধ্যমে বিএনপি তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয়। নেতাকর্মীরা রাজপথে নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি প্রদর্শন করেন এবং অপপ্রচারের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
দলের শীর্ষ নেতারা মনে করছেন, এই অপপ্রচার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাদের ভাষায়, একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে তারেক রহমানকে জনমানসে হেয় করতে চাইছে—যখন তিনি দেশে ফিরে দল পুনর্গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এদিকে দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষায় ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে এগোচ্ছে বিএনপির হাইকমান্ড।
২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে চাঁদাবাজি, অবৈধ দখল এবং প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে দেশের বিভিন্ন জেলায় শতাধিক নেতাকর্মীর তালিকা তৈরি করে তা তারেক রহমানের কাছে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন দলের কিছু প্রভাবশালী নেতা ও অঙ্গসংগঠনের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরা।
দলীয় সূত্র মতে, এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে কেন্দ্র থেকে ৫ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে শোকজ বা বহিষ্কার করা হয়েছে। শুধু ছাত্রদল থেকেই বহিষ্কৃত হয়েছেন প্রায় ৩৫০ জন এবং শোকজ পেয়েছেন ৫৫০ জন। যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল থেকেও শতাধিক নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিশৃঙ্খলা রোধে সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছেন তারেক রহমান। তিনি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন,
“বিএনপি কোনো দুর্নীতিবাজ বা চাঁদাবাজের আশ্রয়স্থল হতে পারে না। প্রয়োজন হলে প্রকাশ্যে বহিষ্কার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।”
সম্প্রতি মিটফোর্ড এলাকায় হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনটি সংগঠনের পাঁচজন নেতাকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন,
“বিএনপি সুসংগঠিত একটি রাজনৈতিক দল। মিথ্যার ওপর দাঁড়ানো অপপ্রচার বেশি দিন টিকবে না। শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে সংগঠনের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।”
রুহুল কবির রিজভী জানান,