নতুন রেকর্ড গড়ার একদিন পরই বড় ধরনের পতনের মুখে পড়েছে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েন। সোমবার (১৪ জুলাই) সর্বোচ্চ ১ লাখ ২১ হাজার ২০৭ ডলারে পৌঁছানোর পর মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) তা প্রায় ২.৮ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ১ লাখ ১৬ হাজার ৪৮৪ ডলারে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
দরপতনের পেছনে মূল কারণ হিসেবে বিশ্লেষকেরা মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে ক্রিপ্টো-সম্পর্কিত একটি বিল পাসে ব্যর্থতাকে দায়ী করেছেন। বিনিয়োগকারীদের আশা ছিল, এই বিলের মাধ্যমে ডিজিটাল সম্পদ খাতে কাঠামোগত উন্নয়ন হবে। তবে বিলটি পদ্ধতিগত জটিলতায় আটকে যাওয়ায় বাজারে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
এর আগে সোমবার বিটকয়েন প্রথমবারের মতো ১ লাখ ২০ হাজার ডলার অতিক্রম করে, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ মূল্য। চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বিটকয়েনের দাম বেড়েছে প্রায় ২৯ শতাংশ। বিশ্লেষকদের মতে, এর পেছনে মার্কিন রাজনীতিতে ক্রিপ্টোবান্ধব মনোভাব, বিশেষ করে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘ক্রিপ্টো প্রেসিডেন্ট’ হিসেবে আত্মপ্রকাশ এবং আইন সংস্কারের আহ্বান, বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়িয়েছে।
বর্তমানে বিটকয়েনের বাজারমূল্য প্রায় ২.৫ ট্রিলিয়ন ডলার। সমগ্র ক্রিপ্টো বাজারের সম্মিলিত মূল্য দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩.৭৮ ট্রিলিয়ন ডলারে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ইথার বর্তমানে ৩ হাজার ৪৮ ডলারের কাছাকাছি লেনদেন হচ্ছে।
এদিকে, ব্ল্যাকরকের স্পট বিটকয়েন ইটিএফ-এ বর্তমানে সাত লাখের বেশি বিটকয়েন রয়েছে। এমন বড় প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ বাজারে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা ও বিশ্বাস বাড়াতে ভূমিকা রাখছে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এখনই চূড়ান্ত মূল্যপতন ধরে নেওয়া ঠিক হবে না—মার্কিন আইনসভায় বিল পাশের অগ্রগতি বাজারে নতুন গতি আনতে পারে।