মালয়েশিয়ায় জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ততার অভিযোগে আটক ৩৬ বাংলাদেশির মধ্যে ৫ জনের বিরুদ্ধে বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন। বাকি ব্যক্তিদের বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে।
বুধবার (১৬ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘জুলাই আন্দোলন’-এর ফটোগ্রাফি ও গ্রাফিতি প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ তথ্য জানান।
তৌহিদ হোসেন বলেন, “মালয়েশিয়া সরকার আমাদের জানিয়েছে, তারা সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখবে। পাঁচজন বাংলাদেশির বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। বাকিদের বিষয়ে তদন্ত চলছে।”
তিনি আরও জানান, মালয়েশিয়ার প্রচলিত আইনে সন্ত্রাসবাদে জড়িত প্রমাণিত হলে ৫ থেকে ৭ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে মালয়েশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ রক্ষা করছে। দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আলোচনায় তদন্তে যৌথভাবে কাজ করার বিষয়েও মতবিনিময় হয়েছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশ সব সময়ই সন্ত্রাসবাদবিরোধী অবস্থানে রয়েছে। আমরা মালয়েশিয়া সরকারকে অনুরোধ করেছি, যদি কাউকে দেশে ফেরত পাঠাতে চান, তাহলে আমাদের আগেই জানাতে হবে। আমরা আমাদের মতো করেও তদন্ত করব।”
সরকার আটককৃতদের আইনি সহায়তা দেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় নিচ্ছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশন ইতোমধ্যে আটক ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং মালয়েশিয়া সরকার কনস্যুলার সুবিধা দিয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছেন উপদেষ্টা।
ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত ও মানবাধিকার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের ভূমিকা নিয়েও ইতিবাচক বার্তা দিয়েছেন কূটনৈতিক মহল।