পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যার ঘটনায় আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পটুয়াখালীর সদর উপজেলার ইটবাড়িয়া এলাকা থেকে মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৯ জনে।
ডিবি পুলিশের সূত্র জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া এই আসামি নিহত সোহাগের নিথর দেহের ওপর পাথর নিক্ষেপ করেছিল বলে তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখনো তার নাম প্রকাশ করেনি। পটুয়াখালী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাজেদুল ইসলাম জানান, ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল এই অভিযান পরিচালনা করে।
এর আগে, গত ৯ জুলাই বিকেলে মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে পাথর দিয়ে মাথা ও শরীরে আঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় সোহাগকে। এ ঘটনার পরদিন নিহতের বোন মঞ্জুয়ারা বেগম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাহমুদুল হাসান মহিন (৪১) ও তারেক রহমান রবিনকে (২২) গ্রেপ্তার করে। রবিনের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তলও উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে র্যাব অভিযান চালিয়ে কেরানীগঞ্জের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আলমগীর (২৮) ও মনির ওরফে লম্বা মনির (৩২) কে গ্রেপ্তার করে।
শুক্রবার রাতে টিটন গাজী (৩২), সোমবার রাতে কাজী নান্নু এবং সর্বশেষ পাথর নিক্ষেপকারী আসামিকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে মামলাটির তদন্তে অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।