আন্দোলন প্রত্যাহার ও গণক্ষমার আবেদন সত্ত্বেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ১২ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে কাস্টমস ও আয়কর ক্যাডারের ১২ জন কর্মকর্তা এবং দুজন নন-ক্যাডারকে বরখাস্ত করা হয়। এনবিআর সূত্র জানায়, বদলির আদেশ ছেঁড়ার ঘটনাকে ‘ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ’ হিসেবে উল্লেখ করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বরখাস্তদের মধ্যে রয়েছেন এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হাছান মুহাম্মদ তারেক রিকাবদার এবং সহসভাপতি কর অঞ্চল-৮-এর অতিরিক্ত কমিশনার মির্জা আশিক রানা। এছাড়া আয়কর বিভাগের পাঁচ যুগ্ম কর কমিশনার, তিন উপ-কর কমিশনার এবং কাস্টমসের তিন কর্মকর্তা রয়েছেন বরখাস্তের তালিকায়।
এর আগে আন্দোলন প্রত্যাহারের সময় সরকারের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ী নেতাদের মাধ্যমে আশ্বস্ত করা হয়েছিল যে, কাউকে শাস্তির আওতায় আনা হবে না। এমন প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও এ সিদ্ধান্তে এনবিআরের অভ্যন্তরে নতুন করে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২২ জুন জারি করা বদলির আদেশ প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলার মাধ্যমে শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় এদের বিরুদ্ধে সরকারি চাকরি আইন অনুযায়ী বিভাগীয় কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তকালীন তারা নিয়ম অনুযায়ী খোরপোশ ভাতা পাবেন।
সূত্র জানায়, আরও শতাধিক কর্মকর্তাকে বদলির মাধ্যমে শাস্তি দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। ফলে এনবিআরের সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে চাপ ও অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে।