অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার পরিস্থিতি নিয়ে ‘সুখবর’ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুর রহমান আল থানির সঙ্গে সাক্ষাতের আগে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তবে তিনি ঠিক কী ধরনের ভালো খবরের কথা বলছেন, তা স্পষ্ট করেননি। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বার্তাসংস্থা আনাদোলুর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
স্থানীয় সময় বুধবার হোয়াইট হাউসে এক বিল স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফকে উদ্দেশ করে বলেন, “আমাদের গাজা নিয়ে কিছু ভালো খবর আছে এবং আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আমরা উচ্চপর্যায়ে কাজ করছি। আপনি অসাধারণ কাজ করছেন।”
যদিও ট্রাম্প বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করেননি, তবে তার মন্তব্যটি এসেছে এমন এক সময়, যখন তিনি কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একটি নৈশভোজ বৈঠকের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। যদিও বৈঠকটি প্রেসের জন্য ‘ক্লোজড’ হিসেবে তালিকাভুক্ত ছিল, অতীতে এমন বৈঠকগুলোয় সাংবাদিকদের কিছু সময়ের জন্য উপস্থিত থাকার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
আনাদোলুর প্রতিবেদনে বলা হয়, কাতারের মধ্যস্থতায় বর্তমানে দোহায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হচ্ছে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার ২৪ ঘণ্টার আলোচনায় “নাটকীয় অগ্রগতি” হয়েছে। আলোচনার মূল লক্ষ্য হলো—একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি ও বন্দি বিনিময় নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছানো।
ইসরায়েলের চ্যানেল ১৩ এক প্রতিবেদনে জানায়, “চুক্তির পথে এখন আর বড় কোনো বাধা নেই।” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইসরায়েলি কর্মকর্তার বরাতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারে “অতিরিক্ত নমনীয়তা” প্রদর্শনের অনুমোদন দিয়েছেন, যা আলোচনা এগিয়ে নিতে সহায়ক হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল গাজায় ভয়াবহ সামরিক অভিযান চালিয়ে আসছে। এতে এ পর্যন্ত প্রায় ৫৮,৫০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। আরও ১০ হাজারের বেশি মানুষ এখনও নিখোঁজ এবং লক্ষাধিক মানুষ বাস্তুচ্যুত। চরম খাদ্যাভাব ও মানবিক বিপর্যয় সেখানে বিরাজ করছে।