দুর্নীতির তদন্ত চলাকালেই যুক্তরাজ্যে সম্পদ বিক্রির চেষ্টায় যুক্ত হয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি ও উপকারভোগীরা—এমন তথ্য প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এবং আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল-এর যৌথ অনুসন্ধানে প্রকাশ, শেখ হাসিনা সরকারের সাবেক মন্ত্রী, ব্যবসায়ী ও ঘনিষ্ঠদের অনেকে যুক্তরাজ্যে মালিকানাধীন বাড়িঘর ও সম্পদ বিক্রি, বন্ধক কিংবা হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন। শুধু গত এক বছরে ব্রিটেনের জমি নিবন্ধন দপ্তরে সম্পদ লেনদেন সংক্রান্ত অন্তত ২০টি আবেদন জমা পড়েছে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার সরকার পদত্যাগ করে। এরপর থেকেই দেশে-বিদেশে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। ইতোমধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে মামলা এবং সম্পদ জব্দের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন জানান, “যদি সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায় যে কেউ তদন্ত চলাকালেই বিদেশে সম্পদ বিক্রি করছেন, তবে তা ঠেকাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
এদিকে, পদোন্নতিতে দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান এবং শ্রম অধিদপ্তরের পরিচালক মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন করেছে দুদক।
তবে শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের নির্বাচনে হলফনামায় যেসব তথ্য গোপন করেছিলেন, তা দুর্নীতি দমন কমিশনের তফসিলভুক্ত নয় বলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন সংস্থার মহাপরিচালক।