জুলাই বিপ্লবের ইতিহাস ছাত্রদলকে বাদ দিয়ে লেখা সম্ভব নয়—এমনটাই দাবি করেছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে তিনি বলেন, ১৬ জুলাই ছাত্রদল নেতা শহীদ ওয়াসিম আকরাম “চলে আসুন ষোলশহর” বলে যে আহ্বান জানিয়েছিলেন, সেটিই ছিল একটি মহাকাব্যিক ডাক। ওই দিনই প্রথম হত্যাকাণ্ড ঘটে, আর সেদিন থেকেই ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আন্দোলনে মুখোমুখি হয়।
তিনি জানান, ১৬ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনই ছাত্রদলের কেউ না কেউ শহীদ হয়েছেন। তাই এই বিপ্লবের ইতিহাসে ছাত্রদলের রক্ত, আত্মদান ও নেতৃত্ব অনস্বীকার্য।
আমান বলেন, গত দেড় দশকে দেশে একটি ফ্যাসিবাদী শাসন চলেছে। এর ফলে সব শ্রেণি–পেশার মানুষ—বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চাকরিজীবী, শিক্ষার্থী—নানাভাবে নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। জনগণের বাকস্বাধীনতা হরণ করা হয়েছিল। সেই পুঞ্জীভূত ক্ষোভই গত বছরের জুলাইয়ে জ্বলে ওঠে।
ছাত্রদের মাধ্যমেই এই আন্দোলনের সূচনা হয়, পরে অভিভাবকরাও তাতে যুক্ত হন। যখন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নীরব, তখন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তা দাবানলে রূপ দেয়।
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে সবচেয়ে নিপীড়িত সংগঠন হচ্ছে বিএনপি এবং এর ছাত্রসংগঠন ছাত্রদল। আমাদের ওপর যে জুলুম চলেছে, তার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি প্রতিবাদ, সবচেয়ে বেশি চেষ্টা আমরা করেছি।”
এই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে সেই চেষ্টার চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বলে মন্তব্য করেন আমানুল্লাহ আমান।