বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনের (OHCHR) একটি সমঝোতা স্মারক সইয়ের মাধ্যমে ঢাকায় এইচআরসি মিশন চালুর বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। তিন বছর মেয়াদি এই সমঝোতার লক্ষ্য হলো—বাংলাদেশে মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নে কারিগরি সহায়তা প্রদান এবং সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করা।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনের মিশন সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে এবং মানবাধিকার বিষয়ে প্রশিক্ষণ, আইনি সহায়তা ও প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়নে সহায়তা করবে। এতে করে বাংলাদেশ তার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বাধ্যবাধকতা পূরণে আরও দক্ষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তবে এই উদ্যোগ ঘিরে দেশে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। মানবাধিকার কর্মীরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও কিছু ইসলামপন্থি সংগঠন সরাসরি আপত্তি জানিয়েছে। তারা মনে করে, এ ধরনের মিশন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের সুযোগ তৈরি করতে পারে।
জাতিসংঘের OHCHR মূলত বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ ও প্রতিবেদন তৈরির কাজ করে। নির্যাতন, বৈষম্য, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, নারী ও শিশু অধিকারের লঙ্ঘনের মতো বিষয়গুলোতে তারা বিশেষ নজর দেয়। তাদের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে অনেক সময় বিদেশি বিনিয়োগ ও সহযোগিতা প্রভাবিত হয়।
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল গত ২৯ জুন প্রথম এই তথ্য প্রকাশ করেন। এরপর থেকেই শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।
তবে সরকার বলছে, এই মিশনের কাজ হবে সম্পূর্ণ সহযোগিতামূলক, কোনোরূপ হস্তক্ষেপমূলক নয়।